ছাত্র-জনতার দাবি, এই ম্যুরাল কোনো গণদাবির ভিত্তিতে নির্মাণ হয়নি। সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় করে, জনমতের তোয়াক্কা না করে এই অবৈধ নির্মাণ করা হয়েছিল। পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পিতার নামে কোনো কিছু এই বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। স্বৈরাচার হাসিনা ও তার বাবা শেখ মুজিবের চিহ্ন মুছে ফেলা হবে।
রাজারহাট সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ভাঙা হয়। পরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ও উপজেলা পরিষদ চত্বরে থাকা ম্যুরাল দুটি হাতুড়ি ভেঙে ফেলেন বিক্ষুব্ধরা।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টায় বিক্ষুব্ধ জনতা হাতুড়ি দিয়ে ম্যুরাল ভাঙতে শুরু করে। পরে এক্সকেভেটর দিয়ে ভাঙা হয়। এর আগে, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর উপজেলা পরিষদ চত্বরে থাকা ম্যুরালটিতে ভাঙচুর ও শেখ মুজিবুর রহমানের মুখাবয়ব কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।
শমসেরনগর এলাকায় জড়ো হন ছাত্র-জনতা। এ সময় এলাকাবাসী তাদের সঙ্গে যোগ দেন। পরে টাওয়ারে থাকা শেখ মুজিবের ম্যুরাল ও বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর করা হয়। পরে বারবাজার সড়কে এনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।